জানা গেছে, বুধবার (১৩ জুলাই) বাজারে এক ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দাম দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ৮১ রুপি। ভারতের ইতিহাসে এর আগে এতো নিচে নামেনি রুপির মান। খবর এনডিটিভির
ইতোমধ্যে ভারতীয় মুদ্রার এমন পতনের পেছনের কারণ খুঁজতে শুরু করেছেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা। ২০২২ সালের শুরু থেকেই মূল্যস্ফীতির জন্য সমস্যায় রয়েছে ভারতীয়রা। দেশটির অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রুপির এ দরপতনের নেপথ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও একাধিক বাহ্যিক কারণ থাকতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবও আছে বলে মনে করছেন তারা।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতীয় মুদ্রা প্রায় চার শতাংশ অবমূল্যায়নের সম্মুখীন হয়। অন্যদিকে আমেরিকার নতুন অর্থনৈতিক নীতির কারণে ডলারের সঙ্গে অন্যান্য বৈশ্বিক মুদ্রার দরের বড় পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
এদিকে বুধবার (১৩ জুলাই) মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমেছে। বর্তমানে আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা দরে, যা আগে ছিল ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। নতুন দামে এদিন ব্যাংকগুলোর কাছে ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অন্যদিকে বর্তমানে মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রার মান ২১১ দশমিক ৬৯ রুপি। চলতি বছরে জুনের শুরু থেকেই কমতে থাকে পাকিস্তানি মুদ্রার মান। জুন মাসেই ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রার মান ২০০ রুপি ছাড়িয়ে যায়।
সামগ্রিক চিত্রের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে এশীয় মুদ্রার মান দিন দিন কমছে। মূলত দেশগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণেই এমন বেহাল দশা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে।