শনিবার (১৬ জুলাই) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খুব খারাপ সময়, খুব ঝুঁকিপূর্ণ সময়। এসময়ে ঐক্যের বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কর্মীদের হুঁশিয়ার থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন। সারা বিশ্বে যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া, সেই প্রতিক্রিয়ায় জ্বালানির দাম ক্রমাগত বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি চরমে। শ্রীলঙ্কার কথা বাদ দিলাম। ইংল্যান্ড ও আমেরিকায়ও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বাংলাদেশকে এ কঠিন জমিনে অগ্রসর হতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখন সারারাত জেগে থাকেন যাতে দেশের মানুষ যাতে ঘুমাতে পারে। ভয়াবহ পরিস্থিতি তিনি সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। বন্যা, করোনা, যুদ্ধের প্রভাব তিনি সফলভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। শক্ত করে দেশের উন্নয়নের ধারা ধরে রেখেছেন। আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাকে শক্তি দিতে হবে। কথায় কথায় নিজেরা কলহে জড়াবেন না। খুব খারাপ সময়, খুব ঝুঁকিপূর্ণ সময় যাচ্ছে। এসময়ে ঐক্যের বিকল্প নেই।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকের এদিন শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, এই দিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দি দিবস। এ দিন শেখ হাসিনাকে বন্দি করে আমাদের বিকাশমান গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করতে এসে অনেকেই জেলে গেছেন। আমাদের নেত্রীও বন্দি হয়েছেন। তার আগে ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। কিন্তু প্রথম বন্দি হন শেখ হাসিনা। তারা এসে বিরোধী দলের নেতাকে প্রথম বন্দি করে। বিরোধী দলের নেতা প্রথম বন্দি হয়। সরকারি দলের নেতা তখনো বন্দি হন নি। ড. ওয়াজেদের সঙ্গে কী দুর্ব্যবহার, ঢাকার কোর্টের সামনেও একই দৃশ্য। বঙ্গবন্ধুকন্যা একটুও শ্রদ্ধা তারা দেখাননি।’