আষাঢ় মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি একেবারে কমে যায়। বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ শুরু হলেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে এরই মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেটে বৃষ্টির প্রবণতা বেড়েছে। এখন তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বিস্তৃত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর (বর্ষা) নিষ্ক্রিয়তায় বৃষ্টিহীন পরিস্থিতিতে সারাদেশের মানুষই গরমে কষ্ট পাচ্ছে। অনেক অঞ্চলেই বইছে তাপপ্রবাহ। যদিও এরই মধ্যে কয়েকটি অঞ্চল থেকে তাপপ্রবাহ দূর হয়েছে।
রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে বৃষ্টি হয়নি। অন্যান্য বিভাগে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তবে এ সময়ে সবেচেয়ে বেশি ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
রাজশাহী, রংপুর এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে হাফিজুর রহমান বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় এসব অঞ্চল থেকে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।