পাটকেলঘাটা থানার অফিসারি ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, তক্ষক বেচাকেনা হওয়ার খবর শুনে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তক্ষকটি একটি খাঁচায় বন্দি ছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারি পালিয়ে যায়। এ সময় তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জনসম্মুখে তক্ষকটি অবমুক্ত করা হয়।
লোকমুখের বরাতে প্রাণীটির কথিত মূল্য কোটি টাকা বলে জানান ওসি।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, তক্ষক গিরগিটি প্রজাতির নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরাতন বাড়ির ইটের দেওয়াল, ফাঁক-ফোকর ও বয়স্ক গাছে এরা বাস করে। এরা কীটপতঙ্গ, টিকটিকি, ছোট পাখি ও ছোট সাপের বাচ্চা খায়। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুযায়ী এটি একটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।
এর কথিত মূল্য সম্পর্কে তিনি বলেন, তক্ষক দিয়ে ক্যানসারের মূল্যবান ওষুধ তৈরি হয়, তক্ষক ঘরে থাকলে লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা আসে, প্রতিবেশী দেশে এর ব্যাপক চাহিদা, মাথার ম্যাগনেটের দাম কোটি টাকা—এমন গুজবের ওপর ভর করে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে দেশজুড়ে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র এখন তক্ষকের পিছু ছুটছে। আমার জানামতে আদৌ এর মূল্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে গুজবের কারণে বিলুপ্ত হচ্ছে বিরল প্রজাতির এই প্রাণীটি।