মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ৫-১১ বছরের শিশুদের টিকা আলাদা। এটা পয়েন্ট টু এমএলের ডোজ। এই টিকার ভায়াল আলাদা ও সিরিঞ্জ আলাদা। চলতি মাসের শেষে আমাদের বেশকিছু টিকা ও সিরিঞ্জ এসে পৌঁছাবে। আমরা আশা করছি, চলতি মাসের শেষে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু করা যাবে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি মিটিং হবে। এরপর একযোগে সারা দেশে কার্যক্রম শুরু করব। প্রাথমিকভাবে আমরা ঢাকা থেকে এই কার্যক্রম শুরু করব, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে চালু করা হবে।
আজ একদিনের ক্যাম্পেইনে ৭৫ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. খুরশিদ আলম বলেন, এটা দিন শেষে বলা যাবে। যদি এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হয় তাহলে আগামী দুই দিনও এই কার্যক্রম চলবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, মানুষের এখন টিকা নেওয়ার আগ্রহ অনেক কমে গেছে। আগে যেরকম ভয়াবহতা ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে সেই ভয়াবহতা না থাকায় আমরা তাদের মধ্যে আগ্রহ কম দেখছি। আমরা চেষ্টা করছি প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে তাদের আগ্রহ বাড়ানোর। মিডিয়া এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু করোনার প্রকোপ আবার বাড়ছে তাই সবাইকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. মো আশরাফুল আলমসহ অধিদপ্তরের অন্য কর্মকর্তারা।
এর আগে সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে চলমান ভ্যাকসিন কার্যক্রমসহ অন্যান্য সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আগামী মাসে (আগস্ট) পাঁচ বছর থেকে এগারো বছরের শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
মন্ত্রী বলেন, শিশুদের টিকা কার্যক্রমে কিছুটা দেরি হওয়ার কারণ হলো আমরা এখনও নিবন্ধন তালিকা পাইনি। এছাড়া আমাদের টিকা পেতেও একটু সময় লেগেছে। কিছু টিকা আমরা এরইমধ্যে পেয়েছি। এর বাইরে আরও তিন কোটি টিকা আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পাওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, নিবন্ধন তালিকা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আবারও তাদের সঙ্গে বসব। নিবন্ধনের কার্যক্রমটা যদি তারা তাড়াতাড়ি করতে পারে, আমরাও তাড়াতাড়ি শুরু করে দিতে পারব। নিবন্ধন ছাড়া আমরা টিকা দিতে পারছি না। তবে আশা করছি আগামী মাসেই শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু করে দিতে পারব।