মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) এক জন বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা পালন করতে অনুরোধ জানিয়েছে ডিপিডিসি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমার কক্ষের সুইচ আমি নিজেই বন্ধ করি’- প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বান আসুন মেনে চলি এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে সংযমী ও সাশ্রয়ী হই। বর্তমানে ডিপিডিসির লোড চাহিদার একটি বড় অংশ এয়ারকুলারে ব্যবহৃত হয়। এসি ব্যবহার বন্ধ বা সীমিত করা হলে লোডশেডিং বহুলাংশে হ্রাস পাবে। এ অবস্থায় লোডশেডিং রোধে অফিস, দোকানপাট, বাসাবাড়ি, মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এসি ব্যবহার অপ্রয়োজনে বন্ধ রাখি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবহার অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে এবং এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখি।
এতে আরও বলা হয়, যেকোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা থেকে বিরত থাকি। আপাতত ডিজিটাল বিলবোর্ড ব্যবহার পরিহার করি। বিদ্যুৎ অপচয় না করে দিনের বেলায় সূর্যের আলো ব্যবহার করি। পরিমিত বিদ্যুৎ ব্যবহারে নিজে সাশ্রয়ী হই এবং অন্যকে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দিই। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি বাল্বসহ অন্যান্য সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করি।
বাসা-বাড়িতে পরিবেশবান্ধব রুফটপ সোলার সচল রাখি এবং নেট মিটারিংয়ের মাধ্যমে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডের উপর চাপ হ্রাস করি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখি।
এছাড়া এলাকার সম্ভাব্য লোডশেডিংয়ের তথ্য জানতে ডিপিডিসির ওয়েবসাইট (www.dpdc.gov.bd) অথবা https://dpdc.org.bd/site/ nocs/load_shedding লিংকে ভিজিট করতে বলা হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে ডিপিডিসির কল সেন্টার ১৬১১৬ নম্বরে যোগাযোগ করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।