মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ কমেছে। আজ ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ ৩০০ কোটির ঘরে অবস্থান করছে। যা গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ডিএসইতে ৩৯০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ২৪০ কোম্পানির শেয়ারের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। লেনদেন শুরুর পর ক্রেতা থাকলেও ধীরে ধীরে তারা হারিয়ে যেতে থাকে। এতে করে ২৪০টি কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার মতো বিনিয়োগকারী থাকলেও ক্রেতাশূন্য হয়ে পরে শেয়ারগুলো।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩১৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৯৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা কম। গতকাল ডিএসইতে ৫১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৬৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪৮ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১৩ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৩৮২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২১টির, কমেছে ৩৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএসপিআই ১৯৫ পয়েন্ট কমেছে। এদিন সিএসইতে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দেশের সংকটকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ে সারা দেশে ২ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এলাকাভিত্তিক সূচি প্রকাশ শুরু করেছে। পাশাপাশি জরুরি সেবা ছাড়া অফিস সময় কমানো বা হোম অফিস করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা জানিয়েছে।
এসব সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলেছে। এমনিতে অর্থনৈতিক চাপের কারণে নানা ধরনের গুজব ও গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছিল।
বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে নানা প্রতিকূলতার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। ইতোমধ্যে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় রপ্তানি আয় কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও তা ডলারের সংকট মেটাতে পারছে না। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডলারের দাম। এজন্য রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এ কারণে রিজার্ভ সংকট তীব্রতর হচ্ছে।