প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবনমুখী শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ২০১৬ সালে ইনোভেশন ডিজাইন এন্টারপ্রিনিউরশিপ একাডেমির (আইডিয়া) কার্যক্রম শুরু হয়। এ একাডেমি থেকে সফট স্কিল প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন স্বল্পশিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা হচ্ছেন।
বুধবার (২০ জুলাই) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই) আয়োজিত ‘অল অ্যাবাউট সফটস্কিল ট্রেনিং সিরিজ গ্র্যাজুয়েশন সিরিমনি ২০২২’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
উই’র প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসাইন, উই গ্লোবাল অ্যাডভাইজার সৌম্য বসু প্রমুখ।
‘উই’-কে বাংলাদেশের অনন্য মডেল উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী উদ্যোক্তারা এ ধরনের উদ্ভাবন দিয়ে অনেকদূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। তিনি বলেন, সাশ্রয়ী, বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী ও উন্নত-স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং প্রযুক্তিনির্ভর প্রজন্ম গড়ে তুলতে নারী উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্বাধীনতার অকৃত্রিম বন্ধু ভারত ও উই-এর মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক নারী অল অ্যাবাউট সফটস্কিলের মতো পদক্ষেপ নিয়ে উদ্ভাবনী ও উন্নত-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করছে। আমরাও তাদের পাশে আছি। দেশের প্রত্যেকটি হাইটেক পার্কে তাদের জন্য একটি ডেডিকেটেড ওয়ার্কিং স্পেস ও সিড মানির ব্যবস্থা করা হবে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ৮ আগস্ট উই-এর ৩০০ নারীকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী উই মাস্টারক্লাসে অংশগ্রহণকারী ১৪ জনকে ‘অল অ্যাবাউট সফটস্কিল’ উপস্থাপনা পরিবেশন করেন। এরপর অতিথিদের সম্মাননা স্বারক দেওয়ার পর ৩৫০ জন মাস্টার গ্রাজুয়েটদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। পরে তিনি উইমেন ই-কমার্স এন্টারপ্রিনিউরশিপ সামিটের ডিজিটাল নিবন্ধনের উদ্বোধন করেন।