তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য ১০-১৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। অথচ প্রতিবেশী দেশগুলোতে চিকিৎসকের এ সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) বলছে, আমাদের আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। এমনকি হাসপাতালগুলোতে পরিমাণের তুলনায় আসন সংখ্যাও অপ্রতুল। সেদিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) জাতীয়ভাবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট কনফারেন্স কক্ষে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২২ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। যা প্রতি সেকেন্ডে আরও বাড়ছে। অথচ আমাদের পৃথিবীতে জনসংখ্যার ধারণক্ষমতা ১ হাজার থেকে ১২শ কোটির বেশি নয়। সেদিকে খেয়াল রেখে আগামীতে পথ চলতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি বা তারও একটু বেশি। ৫৫ হাজার বর্গমাইলের দেশে এত জনসংখ্যার বাস। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১২শ বা তারও বেশি মানুষের বাস। যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীন কিংবা ভারতও জনবহুল দেশ। তারপরও সেসব দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব এত বেশি নয়। সেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১০০ থেকে ১৫০ মানুষের বাস। ফলে এ দিকটিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, এই বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যার জন্য আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মের ব্যবস্থা করতে হয়। আমরা সেগুলো করে যাচ্ছি। তবে আমাদেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ শিক্ষার আওতায় আসছে। অথচ জনসচেতনতা বাড়ছে না। প্রতিবছর ৩০ লাখ শিশুর জন্ম হচ্ছে। বছরে প্রায় ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান দিতে হচ্ছে। এসব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সরকারের নিশ্চিত করতে হয়। যা সহজ নয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য ভালো, এমন বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের এখন ভাবতে হবে। সব দেশের সমস্যা ও সমাধান একরকম নয়। আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। কিন্তু জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে তা সম্ভব হবে না। সম্পদ ও জনসংখ্যার মধ্যে সামঞ্জস্য দরকার। তাহলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত জনগোষ্ঠী উপহার দিতে পারবো।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) সাহান আরা বানু। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এছাড়াও ইউএনএফপি’র বাংলাদেশ রিপ্রেজেনটিটিভ ক্রিস্টিনে ব্লোখুস এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।