এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্স, মেক্সিকো ও অস্ট্রেলিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৭ কোটি ২৪ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৯৭ হাজার।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৬৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩২ হাজার ৪৭০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩২ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ কোটি ২৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬৫৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। গত একদিনে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৯ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬ লাখ ৪ হাজার ৬৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩১ হাজার ৬৯৭ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭১ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫১ হাজার ৯৮৮ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৬ হাজার ২৮২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫১ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭১১ জন এবং মারা গেছেন ২৫১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৭৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৫১ হাজার ২৩৫ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৮৬৯ জন এবং মারা গেছেন ১৩৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫১ হাজার ২৩৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ১০৯ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৬৫৩ জন এবং মারা গেছেন ১৫৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৫২৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৬১ জন এবং মারা গেছেন ১০৭ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ১৭১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৩ লাখ ৬২ হাজার ২২৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৩৯২ জনের। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯১৫ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৯১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৫ লাখ ১১ হাজার ১২০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৯ জনের। একইসময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩২৩ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৯৮৯ জন এবং মারা গেছেন ৮৯ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬০৭ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩ জন এবং মারা গেছেন ৭০ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।