বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সারা বিশ্বেই সংবাদপত্র শিল্প নানা সংকটের মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছিল। বিজ্ঞাপন আয় ও সার্কুলেশন উভয়ই কমছিল। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। সংবাদপত্রের সে সংকটকে ২০২০ সালের করোনা মহামারী আরো ঘনীভূত করেছে। কিন্তু আমাদের পাঠকদের কথা বিবেচনা করে আমরা পত্রিকার দাম বাড়াইনি। আমাদের সংবাদপত্র ছাপার ব্যয় অনেক বেড়েছে। এর প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্টের দাম গত বছরের মধ্যভাগ থেকে বাড়ছিল। গত বছরের প্রথমার্ধে যে দাম ছিল তা বিগত কয়েক মাসে দ্বিগুণ হয়েছে। আবার পত্রিকার জন্য কালি, প্লেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। উপরন্তু ডলারের বিনিময় হারও বেড়েছে। সেই সঙ্গে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সব মিলিয়ে সংবাদপত্রের ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে।’
‘কয়েক বছর ধরে নোয়াবের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সংবাদপত্র শিল্পকে সহায়তা করার আবেদনে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকি করোনা মহামারীর সময় সব শিল্পকে প্রণোদনা দেয়া হলেও সংবাদপত্র শিল্প কোনো সহায়তা পায়নি। বরাবরের মতোই এবারো বাজেটে করপোরেট ট্যাক্স, আমদানি শুল্ক এবং অন্যান্য ট্যাক্স-ভ্যাট অব্যাহত রাখা হয়েছে। এসব মিলিয়ে সংবাদপত্র শিল্প এক নজিরবিহীন সংকটের মধ্যে রয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে আমরা দৈনিক সংবাদপত্রের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি।’
নোয়াবের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ জুলাই ২০২২ থেকে নোয়াবের সব সদস্য পত্রিকার দাম ন্যূনতম ২ টাকা করে বাড়বে। অর্থাৎ ১০ থেকে ১২ টাকা হবে। আর যেসব পত্রিকার দাম ৫ টাকা, সেগুলোর দাম হবে ৭ টাকা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সবসময় মনে রাখি যে পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীরাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা সেরা সংবাদপত্র আপনাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের সব পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’