শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে আইসিবিকে ৫০ কোটি টাকা দিল স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে আইসিবিকে ৫০ কোটি টাকা দিল স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) থেকে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। শেয়ারবাজারে অব্যাহত পতন ঠেকাতে এ টাকা বিনিয়োগ করবে আইসিবি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৯৯তম সভায় সিএমএসএফ থেকে টিডিআর রূপে আইসিবির মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে আইসিবিকে অর্ধশত কোটি টাকা দিয়েছে সিএমএসএফ।

গত ৯ কার্যদিবসে (০৭ জুলাই - ২১ জুলাই) শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের পতন অব্যাহত আছে। পতনের ধারা অব্যাহত থাকায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ৯ দিনে ২৪০ পয়েন্ট হারিয়েছে। একই সঙ্গে এই সময়ে প্রধান শেয়ারবাজারে লেনদেন হাজার কোটির ঘরে একদিনও পৌঁছাতে পারেনি। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) লেনদেন নেমে আসে ৩শ’ কোটির ঘরে।

বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড থেকে আইসিবিকে বিনিয়োগের জন্য ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার কারণে শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। ফলে স্বস্তি ফিরবে দেশের পুঁজিবাজারে।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ বা ‘শেয়ারবাজার স্থিতিশীল তহবিল গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিধিমালা,২০২১ এর অধীনে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠিত হয়েছে। বিধিমালা অনুসারে, সিএমএসএফ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ইস্যুকারীর কাছ থেকে অদাবীকৃত এবং অবন্টিত ক্যাশ বা স্টক ডিভিডেন্ড, অফেরত পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ এবং অ-বরাদ্দকৃত রাইট শেয়ার স্থানান্তর করার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে ক্যাশ এবং স্টকের অভিভাবক হিসাবে কাজ করে।তহবিলে জমা করা নগদ বা স্টক যে কোনো সময়ে শেয়ারহোল্ডার বা বিনিয়োগকারীদের দ্বারা যথাযথ দাবির উপর ভিত্তি করে পরিশোধ বা নিষ্পত্তি করা হবে।

‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়, অন্যান্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা, বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের ঋণ প্রদান, তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ধার দেওয়া এবং ধার নেওয়া এবং বিনিয়োগকারীদের দাবির নিষ্পত্তির মাধ্যমে বাজারে তারল্য নিশ্চিত করা এবং পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করা।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত