বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্পিকার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনশুমারি দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেশের মোট জনসংখ্যার তথ্য পেয়েছি। কতভাগ নারী, কতভাগ পুরুষ সব তথ্য পেয়েছি। তথ্যে দেখলাম নারীর সংখ্যা বেশি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমরা জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন পেয়েছি। খুব দ্রুততম সময়ে প্রাথমিক প্রতিবেদনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। জনশুমারির রিপোর্ট চমৎকারভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। জাতির পিতা সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বের সব দেশেই জনশুমারি হয়। কাজটি খুবই জটিল, এটি সুক্ষ্মভাবে সম্পাদন করতে হয়। সবার হাতে একটা মোবাইল জীবনের একটা অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত সময়ে আমরা নানা তথ্য-উপাত্ত জানতে পারি মোবাইলে। ১০ বছর পর জনশুমারি করে থাকি। জনশুমারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নানা গবেষণা ও পরিকল্পনা গ্রহণে এর তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্পিকার বলেন, বিশ্বের অনেকে দেশে বড় অংশ বয়স্ক মানুষ। কিন্তু আমরা দেখেছি আমাদের দেশে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী জনসংখ্যা বেশি। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। কাজেই আমাদের তরুণ শক্তি বেশি।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, অনেকে বিবিএস-এর তথ্য নিয়ে কথা বলেন। আমরা দেখেছি সফলভাবে বিবিএস তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। এসডিজি বাস্তবায়নের ১০৫টি সূচক এ জনশুমারি থেকে নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়ছে। দেশে উৎপাদিত ট্যাবে ডিজিটাল শুমারি করেছি। দেশে বস্তিবাসীর সংখ্যা এখন মাত্র ১৮ লাখ। এ সংখ্যা আগে অনেক বেশি ছিল। তার মানে বস্তি থেকে বেরিয়ে মানুষ অন্য জায়গায় বসবাস করছেন। তার মানে দেশে দ্রুতহারে দরিদ্রতা কমছে। দেশে ভাসমান মানুষ মাত্র ২২ হাজার জন। অনেক উন্নত দেশে এ সংখ্যা আরও বেশি।’