তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় বিমানকে যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। কোনো ফ্লাইট লিজ না নিয়েই এবার হজ ফ্লাইট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। বিমান ২০১৯ সাল থেকে তার প্রতি বছরের সব দায়-দেনা পরিশোধ করে বর্তমানে লাভজনক অবস্থানে রয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানের কর্মীদের আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণেই প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমান সফলভাবে করোনা সংকট মোকাবিলা করতে পেরেছে। সেই সময় যখন সারা বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বড় সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছে, তখনো বিমান কোনো কর্মীকে ছাঁটাই করেনি।’
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের হ্যাঙ্গার ও জিইসি ডিপার্টমেন্টে আকস্মিক পরিদর্শনে যান বিমান প্রতিমন্ত্রী। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিমানবন্দরে দুই প্লেনের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের গাফিলতির কারণেই গত ৩ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি প্লেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তবে এরসঙ্গে অন্য আরও কোনো কারণ জড়িত কি না, তা বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে কারণেই এ ঘটনা ঘটে থাকুক না কেন, যারা দায়ী তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
মাহবুব আলী বলেন, ‘দুই প্লেনের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ দুর্ঘটনায় বিমানের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যাতে দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আদায় করা যায় তার জন্য বিধি-বিধানও সংশোধন করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানের নিয়োগে কোনো ধরনের অনিয়ম প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আগের নিয়োগ নিয়ে যে অনিয়ম হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য কাজ করছে। বর্তমান নিয়োগেও কোনো ধরনের নিয়মের ব্যত্যয় হবে না। যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অনিয়ম করেন, তাকেই তার দায় নিতে হবে। বর্তমান নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগগুলো আছে, সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।’
মাহবুব আলী বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সেখানকার করোনাজনিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই জাপানে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে। চীনের গুয়াংজু ও কুনমিংয়ে বিমান ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে। গোয়াংজু রুট বিমানের জন্য একটি ভালো ডেস্টিনেশন হবে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহের জায়গায় এটি। এছাড়া অচিরেই মালে ও চেন্নাইতেও বিমানের ফ্লাইট চালু হবে।’