প্রাথমিকভাবে যে দুই ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রমাণ পেয়েছে সেগুলো হলো- আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি এবং ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ।
সূত্র জানায়, একটি চক্র বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিষয়টি বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টে বেশকিছু দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছিলো। বুধবার ওই দুইটি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে টাচলাইন প্রাইসের পরিবর্তে আগ্রাসী বিক্রি করার সংকেত পায় বিএসইসির সার্ভিল্যান্স ডিপার্টমেন্ট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, ‘বিএসইসির সার্ভেইল্যান্সে সফটওয়্যারে টাচলাইন প্রাইসের পরিবর্তে আগ্রাসীভাবে শেয়ার বিক্রির বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক তদন্তের জন্য বিএসইসি থেকে ব্রোকারেজ হাউজ দুটি পরিদর্শন করা হয়েছে। আরও বিস্তারিত জানার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএসইসি মুখপাত্র আরও বলেন, বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ থাকলে অনেক সময় ট্রেডাররাও চাপে থাকে।
এ বিষয়ে জানার জন্য আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানির সিইও মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে আরেক প্রতিষ্ঠান ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের সিইও রহমত পাশা অর্থসংবাদকে বলেন, আগ্রাসী শেয়ার বিক্রির বিষয়ে কিছু জানা নেই। তবে বিএসইসি থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেখানে জানানো হয়েছে সব ব্রোকারেজ হাউজে পরিদর্শনের ধারাবাহিকতায় তারা ইউসিবি ব্রোকারেজ পরিদর্শন করেছে।