ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) বলছে, স্পাইসজেট যখন যথেষ্ট পরিমাণ টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং তার ফিনান্সিয়াল রিসোর্স কাজে লাগিয়ে তাদের সার্ভিস মসৃণ করে তুলতে পারবে তখনই তা (ফ্লাইট) বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।
৫ জুলাই একই দিনে স্পাইসজেটের তিনটি বিমান বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিল। এরপর ৬ জুলাই সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিল ডিজিসিএ। তিন সপ্তাহের মধ্যে সেই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। নোটিশে ডিজিসিএ বলেছিল- ‘নিরাপদ, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য বিমান পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে স্পাইসজেট’। এই আবহে ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় সংস্থাটিকে।
ডিজিসিএ-র চিঠিতে লেখা হয়েছিল, ‘১ এপ্রিল থেকে একাধিক এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে স্পাইসজেটের বিমান গন্তব্যের যাওয়ার বদলে ফিরে গেছে বা নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করে অবতরণ করেছে। দেখা যাচ্ছে যে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি স্পাইসজেট ভালো ভাবে দেখছে না বা রক্ষণাবেক্ষণে কমতি থেকে যাচ্ছে। এদিকে অর্থনৈতিক মূল্যায়নে দেখা গেছে যে স্পাইসজেট নিজের ভেন্ডরদের বকেয়া সময় মতো মেটাচ্ছে না। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষকে এই শোকজ নোটিশের জবাব দিতে হবে। তিন সপ্তাহে আশানুরূপ জবাব না পেলে ডিজিসিএ পদক্ষেপ নেসবে।’
প্রসঙ্গত নোটিশ পাঠানোর আগের ১৭ দিনে আটবার বিপত্তির মুখে পড়েছিল স্পাইসজেট। দুবাইগামী একটি স্পাইসজেটের বিমান করাচিতে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছিল। তাছাড়া ইঞ্জিনে গোলযোগ, উইন্ডশিল্ডে ফাটলের মতো ঘটনা তো রয়েছেই।