পুঁজিবাজারে মূলধন কমলো ১১ হাজার কোটি টাকা

পুঁজিবাজারে মূলধন কমলো ১১ হাজার কোটি টাকা
গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের তিন কার্যদিবসেই বড় দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। এতে এক সপ্তাহেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১১ হাজার কোটি টাকার কমে গেছে। এতে ঈদের পর টানা তিন সপ্তাহের পতনে বাজার মূলধন কমেছে ২৬ হাজার কোটি টাকার ওপরে।

ঈদের পর এখনো পর্যন্ত শেয়ারবাজারে ১৩ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১ কার্যদিবসেই পতন দিয়ে পার করেছে শেয়ারবাজার। এমন টানা পতনের মধ্যে পড়ে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৩ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেলো সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৬ কোটি টাকা। আগের দুই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ১৫ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে টানা তিন সপ্তাহের পতনে বাজার মূলধন কমেছে ২৬ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা।

বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গেলো সপ্তাহে ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯৭টির। আর ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে গেলো সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৬ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৯৭ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৪২ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৭ শতাংশ।

আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গেলো সপ্তাহে কমেছে ৫৫ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৭৩ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২১ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ১৯ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ।

প্রধান ও ডিএসই-৩০ মূল্যসূচকের পাশাপাশি টানা তিন সপ্তাহ পতন হয়েছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকের। গেলো সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছে ৩৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩২ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ১০ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৬ শতাংশ।

সবকটি সূচকের পতন হলেও লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৫৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ১৬৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৭৭০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৩৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯৪ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ১৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ৯৪ কোটি ৫৭ লাখ ২২ হাজার টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেডিএস এক্সসরিজ।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে— ফরচুন সুজ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, সোনালী পেপার, ওরিয়ন ইনফিউশন, কাট্টালী টেক্সটাইল, স্কয়ার টেক্সটাইল এবং শাহিনপুকুর সিরামিক।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত