কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ১৬ মে পরীক্ষার জন্য ১১৬ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে চারটি নমুনার ফলাফল আসেনি। বাকিদের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে ১৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাকিদের নেগেটিভ।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, পাঁচজন নারী ও চার শিশু। তাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় দুইজন, করিমগঞ্জের তিনজন, তাড়াইলের একজন, পাকুন্দিয়ায় দুইজন, কটিয়াদীর দুইজন, ভৈরবের একজন ও বাজিতপুরের এক পরিবারের আটজন।
৬ এপ্রিল জেলার করিমগঞ্জে প্রথম করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক যুবকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর দ্রুত বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মাঝখানে আক্রান্ত অনেকটা কমে এলেও গত সপ্তাহ থেকে আবার বাড়তে থাকে এই সংখ্যা। জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একজন সুস্থ হয়েছেন।
বর্তমানে জেলায় ৭৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে আছেন। এছাড়া করোনা সাসপেক্টেড রয়েছেন পাঁচজন। এরই মধ্যে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের জন্য দুটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এখানে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম চলছে।