রোববার রাত ৮টায় ভোলার স্বাধীনতা জাদুঘর পরিদর্শনের আগ মুহূর্তে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ পর পর তিন নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হয়েছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।এই ১৪ বছর বিএনপির মহাসচিব একই কথা বলে গেছেন।দলটির নেতারা একই কথা বলে আসছেন।রাজপথ দখল করা এত সহজ নয়।
তিনি বলেন, আমরা যেমন আইয়ুব খানকে বিতারিত করেছি। বিএনপিকে বিতারিত করেছি। মানুষের অধিকার আদায় করেছি। আন্দোলন বলে তাকে।১৯৯৬ সালে বিএনপি ১৫ ফেরুয়ারি বিএনপি নির্বাচন করে ক্ষমতায় ছিল দেড় মাস। ফলে রাজপথে বিএনপি কোনো দিনই থাকতে পারেনি।
এ সময় জ্বালানি সংকট বিষয়ে তোফায়েল বলেন, এটি বিশ্বব্যাপী সংকট। আমাদের দেশে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সংকট থাকতে পারে। তিনি এই সংকট মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তোফায়েল বলেন, বর্তমান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার অনেক সফলতা রয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ায় আজ মাত্র ৫ ঘণ্টায় আমি ভোলায় এসে পৌঁছেছি।আগে লঞ্চ বা হেলিকপ্টারে ভোলায় আসতাম। সড়কপথে আসতে অনেক সময় ব্যয় হতো। এখন তা হচ্ছে না।
এ সময় তিনি তার শেষ স্বপ্ন ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টিও তুলে ধরে বলেন, এই ব্রিজ হবে। এরপর হবে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ব্রিজ।তবে আগে হবে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ।
এদিকে রোববার বিকালে তোফায়েল ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে ফেরিপথে ভোলার উদ্দেশে আসার সময় শত শত দলীয় নেতাকর্মী ট্রলার নিয়ে তাকে নদীপথে অভ্যর্থনা জানান।পরে ভেদুরিয়া ঘাট ও পরাণগঞ্জ বাজারসহ পথে পথে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হাজার হাজার নেতাকর্মী।
তোফায়েল আহমেদ গত এত মাস সিঙ্গাপুর শারীরিক চিকিৎসা নিয়ে ভোলায় আসেন।এতেই উৎফুল্ল হন নেতাকর্মীরা। প্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাতে দুপুরেই ফেরিঘাটে জড়ো হন হাজারো নেতাকর্মী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ সিনিয়ন নেতারা।