সরকার নাকি আন্দোলনে ভীত- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব বক্তব্য কমেডি ক্লাবের জন্য জুতসই হতে পারে কিন্তু দেশের বাস্তবতার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। দেশে কোথায় তাদের আন্দোলন? কোথায় তাদের উত্তাপ? জনগণ তো কিছু দেখছে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, একবার শুনি রাজপথ দখলে নেবে, আবার শুনি সরকারকে টেনে নামাবে, কখনো শুনি নির্বাচন হতে দেবে না। আসলে বিএনপির সক্ষমতা কতটুকু তা আমাদের জানা আছে।
বিএনপি নেতাদের প্রতিদিন অভিন্ন বক্তব্য, হুমকি-ধামকি শুনতে শুনতে জনগণ এখন হাসে বলেও মনে করেন তিনি।
বৈশ্বিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি সরবরাহে অস্থিতিশীলতা ও মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ সংকট কোনো দেশের নয়, এ সংকট সারাবিশ্বের।
কাদের বলেন, এ বাস্তবতা অনুধান না করে বিএনপি ও তার দোসররা শুধু সরকারকে দায়ী করছে।
বিএনপি নেতাদের কথায় কথায় দুর্নীতি আর লুটপাটের বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে বলুন, কোথায়, কারা, কে দুর্নীতি করছে। দুর্নীতির প্রশ্নে শেখ হাসিনা সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কোনো নড়চড় হয়নি।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পরিবহন ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে কিন্তু কোনো কোনো পরিবহন বাড়তি ভাড়া আদায় করছে- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন, তারাসহ বৈঠক করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বাস্তবে প্রয়োগ করবেন।
‘যারা সমন্বয়কৃত ভাড়ার বেশি আদায়ের চেষ্টা করছেন, আমাদের মনিটরিংয়ের আওতায় তারা রয়েছেন, তাই আবারও তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
যারা ধর্ষণ ও ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটায় তাদের গণশত্রু আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করছে। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।