তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা কোনো একক দলের দায়িত্ব নয়। সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা। আমাদের গত ৫০-৫১ বছরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তখনই হুমকির মুখে পড়েছে, যখন কেউ অস্ত্র দিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করেছে। অস্ত্র দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আবার ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠিত হয়েছে, তখন আমাদের দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে।
গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির চর্চার কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ও রীতি-নীতির চর্চা সেটি সম্মিলিত রাজনৈতিক দায়িত্ব। নির্বাচন আসলে আমরা যদি নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি লালন করি তাহলে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সবকিছুতে না বলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি, এটি আমাদের রাজনীতিতে তিক্ততা বাড়িয়েছে। আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আগামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ।