নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের ৪০০ তম ম্যাচ খেলতে নেমে সম্মানজনক সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। এনামুল হক বিজয় আর আফিফ হোসেনের হাফ সেঞ্চুরিতে কোনো রকমে আড়াইশো পেরিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তবে এই পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জেতা যে অনেকটা অসম্ভব তা তো বলাই যায়।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মতোই শেষ ওয়ানডেতেও টস ভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। হারারেতে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচে আগ্রাসীভাবে ব্যাট চালাননি তামিম ইকবাল। কিছুটা রয়েসয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। সঙ্গী এনামুল হক বিজয়ও খেলছেন একই ব্যাকরণে। জিম্বাবুয়ের পেসার রিচার্ড এনগারাভাকে দেখেশুনে খেলেন দুজন।
বাংলাদেশের ওপেনারদের এ দিনও অস্বস্তিতে রাখেন এনগারাভা। তাকে খেলতে যে তামিম-বিজয়রা স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না, সেটা বোঝাই গেছে তাদের শরীরী ভাষায়। মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বল-রানের খানিকটা সামঞ্জস্য বজায় রাখার চেষ্টায় থাকেন ওপেনাররা। পাওয়ার প্লে'তে ডট বলই বেশি খেলেন তারা।
নবম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বিজয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান-আউট হন আগের দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো তামিম। এ দিন ৩০ বলে তিন বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন তামিম।
তামিম ফেরার পর ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্তও। দশম ওভারে ব্র্যাড ইভান্সের করা প্রথম বলটি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তুলে দেন শান্ত। ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি ওয়েসলি মাধেভেরে। শুন্য রানে ফিরে যান শান্ত। একই ওভারের চতুর্থ বলে ফিরে গেছেন মুশফিকুর রহিম। থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে আপার কাট খেলেছিলেন তিনি। দুর্দান্ত এক ক্যাচে তার প্যাভিলিয়নে ফেরা নিশ্চিত করেন এনগারাভা। শুন্য করেছেন মুশফিকও। সবমিলিয়ে আট বলের মধ্যে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
৪৭ রানে তিন উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং বিজয়। একটু পরই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিজয়। ৪৮ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর আবারও হাফ সেঞ্চুরি পান বিজয়। অপরদিকে ধীরগতিতে খেলতেই থাকেন মাহমুদউল্লাহ। নিজের খেলা প্রথম ২৫ বলে মাত্র ৬ রান করেন তিনি। ২৬তম বলে মারেন প্রথম বাউন্ডারি। দেখেশুনে খেলতে খেলতে ২০.৪ ওভারে দলীয় শতকের দেখা পায় বাংলাদেশ।
সেঞ্চুরির দিকে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন বিজয়। যদিও ব্যক্তিগত ৭৬ রানেই বিদায় নিয়েছেন তিনি। লুক জংউইয়ের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি বিজয়ের ব্যাটের কানায় লেগে অভিষিক্ত উইকেরক্ষক ক্লিভ মাদানদের হাতে চলে যায়। ৭৩ বলে খেলা ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও চারটি ছক্কার মার।
উইকেটে এসে শুরু থেকেই রান করতে বেশ লড়াই করতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। নিজের খেলা প্রথম ২৫ বলে মাত্র ৯ রান করেন তিনি। আর নিজের খেলা ২৬তম বলে প্রথমবার বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে সক্ষম হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।
৫৮ বলে দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন আফিফ হোসেন। এই মিডল অর্ডার ব্যাটারের ব্যাটে ভর করেই সম্মানজনক সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।