বুধবার (১০ আগস্ট) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাত্রীদের সঙ্গে যাতে বিমানবন্দর কর্মীরা ভালো ব্যবহার করে সেজন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হবে। বিমানবন্দরে কর্মরত ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, পুলিশ সবাই এর আওতায় থাকবে। যাত্রীদের কথা চিন্তা করে এটা করা হচ্ছে। যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে কেউ এখানে চাকরি করতে পারবে না।
সম্প্রতি এক যাত্রীকে কাস্টমস কর্মকর্তার চড় মারার কথা উল্লেখ করে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান বলেন, যাত্রীদের সম্মান যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সে ব্যাপারে আমরা বদ্ধ পরিকর। সম্প্রতি কাস্টমসের ঘটনায় আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। যাত্রী ভুল করে থাকলেও তার গায়ে আঘাত করার অধিকার কারো নেই। যিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এটি করছে।
গণশুনানিতে এক যাত্রী অভিযোগ করেন, বিমান থেকে নেমে গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিমানবন্দরে থাকা সিএনজি বা গাড়িগুলোর কাছে যাত্রীরা জিম্মি থাকেন। স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে অধিকাংশ সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান বলেন, এটি আমরা খুব কাছ থেকে মনিটরিং করছি। প্রবাসী ভাইয়েরা পরিবহন চালকদের কাছে অনেক সময় প্রতারিত হন। আমরা প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমরা শাটল বাসের ব্যবস্থা করব। আশা করছি দ্রুত হয়ে যাবে।
শাটল বাসে প্রবাসীরা সামান্য মূল্য দিয়ে টিকিট কাটতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের নিয়ে উত্তরাসহ কয়েকটি গন্তব্যে যাবে বাসটি। এতে যাত্রীরা আর জিম্মি হবেন না।
অপরিচিত কারো লাগেজ বা ব্যাগ বহন না করার জন্য সতর্ক করে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, অপরিচিত কারো কাছ থেকে লাগেজ বা ব্যাগ নেবেন না। যদি নেন তাহলে নিশ্চিত হয়ে নেবেন ভেতরে কী আছে। কারণ এর পুরো দায়দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে। আপনার আত্মীয় দিয়েছে, এটি আইন শুনবে না। আমাদের এখানে সিকিউরিটি সিস্টেম ভালো করা হয়েছে। অনৈতিক কাজের সঙ্গে কেউ জড়িয়ে পড়লে ছাড় পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
গণশুনানিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।