বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ঢাকা এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর দেওয়া তথ্য মতে, কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার। কোম্পানিটির ব্যবসায় কাঁচামালের অভাব, স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম, খুব অল্প উৎপাদন ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা বন্ধের কারণে বাংলাদেশে ব্যবসা করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
ডিএসইকে কোম্পানিটি আরও জানায়, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের পরিচালনা পর্ষদ ‘রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট’ দিয়ে প্রপার্টি, প্লান্ট এবং ইকুয়েপমেন্টের করা পুর্নমূল্যায়ন অনুমোদন করেছে।
গত ৩১ মার্চ,২০২২ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির সম্পদের মূল্য ছিল ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫১ হাজার ২৫ টাকা। সম্পদ পুর্নমূল্যায়নের পর মূল্য দাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৭১ লাখ ৭৮ হাজার ২৮০ টাকা। অর্থাৎ সম্পদ পুর্নমূল্যায়নের পর উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ১২ লাখ ২৭ হাজার ২৫৫ টাকা।
কোম্পানিটি স্বেচ্ছায় তালিকাচ্যূতির জন্য বাংলাদেশসিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বিনিয়োগকারীদের অনুমতি নেবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ। তালিকাভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি। প্রতিষ্ঠানটি মোট শেয়ারের ৪২.১৪ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৭.১৮ শতাংশ শেয়ার। বাকি ৫০.৬৮ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৬১ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে।