প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
বৈঠকে জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এরই মধ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিপিসির (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) চেয়ারম্যান তো প্রেসে বিস্তারিত বলেছেনই। ওটাই জাস্ট মন্ত্রিসভায় অবহিত করা হয়েছে।
বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমলে কি দেশেও কমবে- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো নিয়ে তো ওনারা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এর মধ্যে আবার ব্যাখ্যা দেবেন। আজ বলে দেওয়া হয়েছে, কারণ এটা একটা টেকনিক্যাল বিষয়। স্বল্প পরিসরে আমি ব্যাখ্যা দিলে অনেক প্রশ্ন আসবে, উত্তরও হয়তো দেওয়া যাবে না। এজন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলে দেওয়া হয়েছে। তাদের আবার ব্রিফ করতে বলা হয়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, সরকার যে যুক্তিতে দাম বাড়িয়েছে এটা তারা করতে পারে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ জিনিসগুলোই আলোচনা হয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় বা বিপিসিতে বলা হয়েছে তারা যাতে ইমিডিয়েটলি জিনিসগুলো ক্লারিফাই (পরিষ্কার) করে।
সরকার কি জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো ওনাদের (মন্ত্রণালয়) ব্রিফিংয়ে সব ক্লিয়ার করবেন।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, আজ মূলত তারা পুরো ক্যাবিনেটকে ব্রিফ করেছে। এ বিষয়ে ক্যাবিনেট কোনো মতামত দেয়নি, তবে যে ওপিনিয়ন দিয়েছে- জ্বালানি মন্ত্রণালয় যাতে এ বিষয়টি ক্লারিফাই করে মানুষের সামনে তুলে ধরে।
এর আগে শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টার পর ডিজেল, পেট্রল, কেরোসিন ও অকটেনের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। দাম বেড়েছে প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪ টাকা, কেরোসিনে ৩৪ টাকা, অকটেনে ৪৬ টাকা ও পেট্রলে ৪৪ টাকা।
দাম বাড়ার পর প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রল ১৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
আগে ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেলের খুচরা মূল্য ছিল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকা।