গত ৪ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে নিলামে শেয়ার বিক্রি করা হয়। এতে তাদের জন্য সংরক্ষিত সব শেয়ার বিক্রি শেষ হয় ৩৩ টাকা ৯৭ পয়সা দরে। কাট-অফ প্রাইসের উপর ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে।
জানা যায়, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই টাকা কোম্পানির নতুন উৎপাদন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্ফোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর জন্য ব্যয় করবে।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত অনুসারে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না।
কোম্পানিটির ৯ মাসে (জুলাই ২১-মার্চ ২২) অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৩৯ টাকা। আর বিগত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.৫২ টাকা। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভিপিএস) দাড়িঁয়েছে পূণ:মূল্যায়নসহ ৪৩.৫৩ টাকায়। আর পূণ:মূল্যায়ন ছাড়া এই সম্পদের পরিমাণ ১৯.০২ টাকা।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। গত ৮ জুন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮২৬তম সভায় নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের বুক বিল্ডিংয়ের অনুমোদন দেয়া হয়।