জানা গেছে, উত্তরার কামার পাড়ায় নিহত গাজী মাজহারুল ইসলামের অটোরিক্সা গ্যারেজের পাশাপাশি একটি ভাঙারির দোকান আছে। রিক্সা গ্যারেজে অটোরিক্সা রেখে ব্যাটারির নিয়মিত চার্জ দেওয়া হয় এবং অটোরিক্সার ব্যাটারিতে কোন সাবধানতা অবলন্বন না করে এসিড পরিবর্তন করা হয়।
নিহত মাজাহারুলের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিক্সা গ্যারেজে ঘটনার দিন অনেকগুলো ব্যাটারি ওভার লোডিং চার্জ দেওয়া হচ্ছিল। চার্জকৃত ব্যাটারিতে গ্যারেজ মালিক এসিড পরিবর্তন করছিল এসময় অল্প দুরবর্তীস্থানে অপর দুই কর্মচারী ধূমপান করছিলেন। ব্যাটারিতে এসিড ঢালার সময় অসাবধনাতাবশত কিছু এসিড বিদ্যুতের তারে গিয়ে লাগে,এসময় বিদ্যুতের শটসার্কিট হয়ে বিস্ফোরণে গ্যারেজ মালিক গাজী মাজাহারুলসহ ৮ জন অগ্নিদগ্ন হয়। এবং বিস্ফোরণের সময় গ্যারেজে থাকা ১৩টি অটোরিক্সা ছিন্নবিছিন্ন হয় এবং রক্ষিত অনন্য মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পাশের ভাঙ্গারির দোকান ঘরে রক্ষিত বিভিন্ন স্থান হতে ক্রয়কৃত ‘ডঃ রাযেস’এর জামকিল কিল স্প্রে কিছু ব্যবহারিত খালি কৈাটাগুলিসহ অনন্য মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলেও অক্ষত থেকে যায়। বিস্ফোরণ ঘটার পর উত্তরা ফায়ার ষ্টেশনের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম তিনটি টিম নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
পরবর্তীতে বিষ্ফেরক বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হন ব্যাটারিতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের কারণে ব্যাটারি বিষ্ফোরণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গ্যারেজে আগুন লেগে ১৩টি আটোরিক্সাসহ সকল মালামাল ছিন্নবিচ্ছিন্ন হলেও পাশ্ববর্তী ভাঙ্গারির দোকানে রক্ষিত ননএলকোহলীক ‘ডঃ রাযেস’এর জামকিল কিল স্প্রে কৌটাগুলি অক্ষত রয়েছে।
এদিকে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার পর হসপিটালে চিকিৎসাধীন আহতদের মৃত্যুর আগ মূহুর্তে আলমের শশুর রফিক,নুর হোসেন পিতা নাজমুলকে তারা বলেছে, রিক্সাগ্যারেজ মালিক গাজী মাজহারুল ইসলাম ব্যাটারিতে এসিড পরিবর্তন করছিল,এ সময় অদুরে অপর এক কর্মচারী সিগারেট টানছিল বাকিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আলাপচারিতায় ব্যস্ত ছিল হঠাৎ ব্যাটারিতে লাগানো বিদ্যুতের তারে এসিডের ফোটা লেগে স্পার্ককিং হয় এবং মূহূর্তে আগুন লেগে বিষ্ফেরণ ঘটে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন তাদের পরিবারের একমাত্র উপর্যন ব্যাক্তি চলে গিয়েছ তারা এখন অসহয়,দিশোহারা,অনিশ্চতায় ভুগছেন বলে জানান। তারা বিত্তবানদের সহয়তা করার অনুরোধও করেন। ঘটনাস্থলের আশেপাশে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে গত ১ বছর আগে একই রিক্সা গ্যারেজে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয় একজনের মৃত্যু হয় বলে জানান।
এঘটনায় অটোরিক্সা গ্যারেজ ও ভাঙারির দোকানের মালিকের ভাই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বুধবার তুরাগ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।