রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন দুটি মৌসুমের সন্ধিক্ষণ। বোরো চলে গেছে, আমন আসবে। অনেক জায়গায় খরার কারণে মানুষ আমন লাগানো নিয়ে ভয়-ভীতিতে আছে। এর সঙ্গে পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। পরিবহন খরচের হারের চেয়ে চালের দামটা বেশি বেড়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও আছেন। এটা পরিষ্কার কথা, আমাদের অস্বীকার করার কিছু নেই।’
এ বিষয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অবৈধ মজুতের বিষয়ে আমাদের নিয়মিত মনিটরিং আছেই। সেটা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী ২ হাজার ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) করা হবে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী জানান, প্রতিদিন ২ হাজার ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলবে। তারা প্রতিদিন দুই টন করে চাল বিক্রি করবে।
তিনি বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একসঙ্গে চালু হলে আমি মনে করি চালের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে। আমাদের সরকারি মজুত আছে, আমরা তো মানুষের জন্যই মজুত করি। যারা এ চাল নেবে তাদের বাজার থেকে আর চাল কিনতে হবে না। সেখানে তো আমরা ভরসা করতেই পারি।