সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য নিয়ে রোববার (১৪ আগস্ট) এসব কথা বলেন হাইকোর্ট।
এর আগে নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বক্তব্য তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য সঠিক নয় বলেছেন। সুইস ব্যাংক চলতি বছরের ১৬ জুন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরদিন সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জমানো অর্থের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে (ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) অনুরোধ করা হয়। তবে এখনো কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ। রাষ্ট্রদূত না জেনে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সঠিক বলেননি।’
এ বিষয়ে আদালত বলেন, ‘তার মানে বাংলাদেশ চেষ্টা করেছে, ওনারা তথ্য দেননি?’ আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘জ্ব, রাষ্ট্রদূত সঠিক বলেননি।’ দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘এখন রাষ্ট্রদূতের এ বিষয়ে একটা বক্তব্য দিতে হবে। ডিক্যাব টকে দেওয়া তাঁর (রাষ্ট্রদূতের) দেওয়া বক্তব্য সঠিক নয়। তিনি হুট করে কীভাবে এমন কথা বললেন, এটা আমাদের বোধগম্য নয়। এই বক্তব্য টোটালি ইগনোরেন্স (অজ্ঞতা) থেকে দেওয়া।’ এ সময় আদালত বলেন, ‘এ বক্তব্য বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। আপনাদের (দুদক-রাষ্ট্রপক্ষের) বক্তব্যের মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্ত করতে করবে।’
গত ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিক্যাব টকে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি। পরদিন বিষয়টি নজরে নিয়ে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক আদালতে প্রতিবেদন দেন।’