জানা যায়, চলতি মৌসুমে দেশের ছোট-বড় ২৩১টি বাগানে ৯ কোটি ৭০ লাখ কেজি চা পাতা উৎপাদনের টার্গেট রয়েছে। এখন চা উৎপাদনের ভরা মৌসুম। গত কয়েকদিনে গাছে গাছে সবুজ পাতা আর কুঁড়ি অঙ্কুরিত হয়েছে। এখন যখন এই চা ফ্যাক্টরিতে নিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণের কথা ঠিক তখনই স্থবির হয়ে পড়েছে পাতা উত্তোলনসহ বাগানের যাবতীয় কর্মযজ্ঞ।
এদিকে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিষয়টি সমাধানের জন্য মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হবে শ্রমিকদের। এর যৌক্তিক সমাধান না হলে ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানা যায়।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ইটা চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি শ্রমিক নেতা নাছিম আহমদ বলেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টির দ্রুত সমাধান হওয়া উভয়পক্ষের জন্য ভালো। উত্তোলন না হওয়ায় গত পাঁচদিনে চা গাছের পাতা ও কুঁড়ি লম্বা হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নিপেন পাল বলেন, মঙ্গলবার শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্রীমঙ্গল এসে প্রথমে চা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। আমরা আলোচনায় রাজি আছি। আশা করি, আন্দোলনের একটি সমাধান হবে। আমাদের যৌক্তিক দাবি না মানলে আন্দোলন চালিয়ে যাব।
জেলার রাজনগর ইটা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আদিল বলেন, চা উৎপাদনে খুব ক্ষতি হচ্ছে। আমরা মনে করি, মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে দ্রুত বিষয়টির সমাধান হলে উভয়পক্ষ লাভবান হবে। এ পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ লাখ কেজি চা পাতা উত্তোলন ব্যহত হয়েছে।
বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন সিলেট শাখার চেয়ারম্যান ও শ্রীমঙ্গল ক্লোনেল চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুরুল হক বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে চা উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হবে।