বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ‘ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিবস-‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জন্মাষ্টমী হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন পরোপকারী, প্রেমিক, রাজনীতিক ও সমাজ সংস্কারক এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে-মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন। যেখানেই অন্যায়-অবিচার এ ধরাধামকে গ্রাস করেছে সেখানেই শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছেন আপন মহিমায়। সনাতন ধর্ম মতে, অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় তিনি যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য শ্রীকৃষ্ণ মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে হত্যা করে মথুরায় শান্তি স্থাপন করেন। প্রেমিক রূপে কৃষ্ণের পরিচয় পাওয়া যায় তার বৃন্দাবন লীলায়, যা বৈষ্ণব সাহিত্যের মূল প্রেরণা।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ‘আমাদের মহান ঐতিহ্য’। জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে সবাইকে সম্মিলিতভাবে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি এখন ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এজন্য আমি শ্রীকৃষ্ণের দর্শনকে ধারণ করে পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে সমাজের অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে জন্মাষ্টমীর আয়োজন আরও উৎসবমুখর হয়ে উঠুক-এ প্রত্যাশা করি।
রাষ্ট্রপতি শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী উৎসবের সাফল্য কামনা করেন।