শুক্রবার (২৯ মে) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ এবং চার জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, রংপুর বিভাগে দুই জন, বরিশাল বিভাগে একজন এবং সিলেট বিভাগে একজন রয়েছেন।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৮২ টি, পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৩০১টি। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৮৭ হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক চার শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩২৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন পাঁচ হাজার ১৪০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭২ জন। এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৮১০ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে চার হাজার ৯০০ জনকে। এখন পর্যন্ত মোট দুই লাখ ৮০ হাজার পাঁচ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৯১৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৭০ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬০ হাজার ২৭৫ জন।