তারা জানিয়েছে, ৩১ টি দেশে এসব সাংবাদিকদের মৃত্যু হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এখবর জানিয়েছে।
পিইসি;র মহাপরিচালক ব্লেইস লেম্পেন এক বিবৃতিতে বলেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে সংবাদকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তারা মানুষকে রোগের ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে জানাচ্ছেন। অধিকাংশ সংবাদকর্মীর মৃত্যু হয়েছে দায়িত্ব পালনের সময় যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকার কারণে।
এনজিওটি পরিসংখ্যান অনুসারে, ১ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত অন্তত ১২৭ সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন। শুধু মে মাসেই মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের।
পিইসি জানিয়েছে, তাদের এই পরিসংখ্যান সাংবাদিকদের জাতীয় সংগঠন, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা পিইসি প্রতিনিধিসহ একাধিক সূত্র থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
অঞ্চল হিসেবে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে লাতিন আমেরিকায়। এখানে মারা গেছেন অন্তত ৬২ জন। অন্য অঞ্চলে মধ্যে ইউরোপে ২৩, এশিয়ায় ১৭, উত্তর আমেরিকায় ১৩ এবং আফ্রিকায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
লাতিন আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে পেরুতে। এরপর রয়েছে ব্রাজিল ও মেক্সিকো। এই দুটি দেশে ১৩ জন করে মারা গেছেন। ইকুয়েডরে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃত সাংবাদিকের সংখ্যা ১২ জন। রাশিয়া ও পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ৮ জন করে। যুক্তরাজ্যে ৫, বাংলাদেশে ৪ এবং ৩ জন করে মারা গেছেন বলিভিয়া, ক্যামেরুন, ডমিনিকান রিপাবলিক, ফ্রান্স, ভারত, ইতালি ও স্পেন।
দুজন করে মারা গেছেন আলজেরিয়া, কলম্বিয়া, মিসর, সুইডেন এবং একজন করে মৃত্যু হয়েছে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ইরান, জাপান, মরক্কো, নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, টোগো ও জিম্বাবুয়ে।
খবরে বলা হয়েছে, কয়েকশ’ সংবাদকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।