ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা করোনাভাইরাসের কারণে কোনো প্রকার পণ্য আমদানি-রফতানি করেনি। ফলে কার্যত ভোমরা বন্দর খোলা থাকলেও পণ্য আমদানি-রফতানি হয়নি।
এর আগে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৫ মার্চ থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
বন্দরসংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-জুন পর্যন্ত ১১ মাসে রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে ৫৬৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে গত এপ্রিল ও মে মাসে। সূত্রটি আরো জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে এই দুই মাস বন্দর বন্ধ থাকার কারণে এক টাকাও রাজস্ব অর্জন হয়নি। কিন্তু এপ্রিল ও মে মাসে রাজস্ব আদায় লক্ষ্য ছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। ফলে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের গত ১১ মাসে প্রায় ৫০ শতাংশ রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে।
ভোমরা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল থেকে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরপর ব্যবসায়ীরা এলসি অনুযায়ী ভারত থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য যোগাযোগ করলে, সে দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনা ঝুঁকি নিয়ে তারা কোনো পণ্য আমদানি-রফতানি করবে না। ফলে বন্দর খুললেও পণ্য আমদানি-রফতানি হয়নি।
ভোমরা স্থলবন্দরের দায়িত্ব থাকা কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার মো. রেজাউল করিম জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ভোমরা স্থলবন্দরে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ১ হাজার ১৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। কিন্তু গত ১১ মাসের মধ্যে নয় মাস বন্দরের কার্যক্রম চালু থাকায় ৫৭৯ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে এপ্রিল-মে বন্ধ থাকায় কোনো রাজস্ব আদায় হয়নি। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৫৬৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে।