পূর্ব লাদাখে ভারত ও চীনা সেনাবাহিনীর মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তার বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে সোমবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চীনা আগ্রাসন নিয়ে ‘ব্যাপক উদ্বেগ’ জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক প্রধান ইলিয়ট অ্যাঞ্জেল বলেন, ‘আমি কঠোরভাবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে, চীনকে নিয়ম, কূটনীতি ও বর্তমান প্রক্রিয়া মানতে বলছি।’
ভারতের তরফে বলা হয়েছে, লাদাখ ও সিকিমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা টহলে বাধা দিচ্ছে চীন। পাশাপাশি চীন সীমান্তে ভারতীয় সেনার প্রবেশের জন্যই উত্তেজনা তৈরির চীনা দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দিল্লি।
ডোকালামের পর ভারত ও চীনের মধ্যে এটিই সবচেয়ে গুরুতর ইস্যু। পূর্ব হিমালয় এলাকার এই সীমান্ত নিয়ে ২০১৭ সালে দুই দেশের মধ্যে তিন মাস ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
মঙ্গলবারের ফোনালাপে চীন ইস্যু ছাড়াও জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হওয়া অস্থিতিশীল পরিবেশ নিয়ে কথা হয় দুই নেতার। ভারত সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অশান্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর সমাধানে দ্রুত উপায় বের করার জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন তিনি।’ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কার নিয়েও আলোচনা হয় তাদের।
ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য আগামী জি ৭ সম্মেলনে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প। দিল্লি জানিয়েছে, সংস্থাটির বর্তমান সদস্যদের বাইরে নতুন করে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে আগ্রহী ট্রাম্প। এর মাধ্যমে ভারতসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশকে সংস্থাটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে চান তিনি।