যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০২০ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে ১৯৩টি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার উল্লেখ আছে। গত ২৬ ডিসেম্বর এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
গত বছরও একই দিনে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০১০ প্রকাশ করে সংস্থাটি বলেছিল, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে। তখন বাংলাদেশ হবে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্ব জিডিপির ২৪ দশমিক ৮ শতাংশের দাবিদার যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ চীন যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশ হবে ২০৩৩ সালে। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে ভারত ২০১৯ সালে বিশ্বের পঞ্চম বড় অর্থনীতির দেশ হয়েছে। ২০২৬ সালে জার্মানিকে টপকে চতুর্থ বৃহত্তম ও ২০৩৪ সালে জাপানকে পেছনে ফেলে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত। ২০২৬ সালে ভারতের জিডিপির আকার ৫ ট্রিলিয়ন ডলার হবে বলে উল্লেখ রয়েছে এতে। ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ফ্রান্স যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলতে পারছে না জানিয়ে এতে বলা হয়েছে, ২০৩৪ সালেও যুক্তরাজ্য ফ্রান্সের তুলনায় এগিয়ে থাকবে। ওই সময় কানাডা বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম ও অস্ট্রেলিয়া ১৩তম অর্থনীতির দেশ হবে। ২০২৭ সালেই দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের শীর্ষ ১০ অর্থনীতির তালিকায় ঢুকবে, ১৪ বছরের মাথায় ১১তম বড় অর্থনীতির দেশ হবে ইন্দোনেশিয়া।