৪৫ দিন সংস্কারকাজের জন্য রানওয়ে বন্ধ থাকার পরও এ চিত্র দেখা গিয়েছে। কাতারে হতে যাওয়া ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের কারণে যাত্রী সংখ্যা আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
দুবাই বিমানবন্দরের চিফ এক্সিকিউটিভ পল গ্রিফিতস বলেন, এ পুনরুদ্ধার অর্জনের ক্ষেত্রেই যে শুধু দুবাই বিমানবন্দর সফল হয়েছে তা-ই নয়, বরং এ সময়ে গ্রাহকদের সেবা প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মহামারী শুরুর সময়ে আমরা জানতাম যে এ নাটকীয় পতন শেষে একটি নাটকীয় উত্থান দেখা দেবে। সেজন্য আমরা ভালোমতোই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমাদের ব্যবস্থায় সব ধরনের ব্যবসার তথ্য ব্যবহার করে কখন থেকে পুনরুদ্ধার শুরু হবে সেটা পূর্বানুমান করতে পেরেছিলাম। তাই প্রস্তুতি নিতে বিমানবন্দর-সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী সদস্যদের সঙ্গে আগে থেকেই কাজ করতে পেরেছিলাম।
গ্রিফিথস বলেন, করোনা মহামারীর প্রভাব থেকে উঠে আসার বিষয়টি খুব অভূতপূর্ব, ২০২২ সালে পুনরুদ্ধার পরিস্থিতি আরো শক্তিশালী হয়েছে, বিশেষ করে দ্বিতীয় প্রান্তিকে।
গত জুনে আন্তর্জাতিক যাত্রী চলাচল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২৩০ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এশিয়া-প্যাসিফিকের বেশকিছু অংশ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কারণেই।
দুবাই বিমানবন্দর জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে যাত্রী চলাচলের সংখ্যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখে। এরই মধ্যে যাত্রী চলাচলের সংখ্যা নভেল করোনাভাইরাস মহামারীপূর্ব ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় বেড়েছে ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
২০২২ সালের প্রথমার্ধে ৭১ লাখ ২০ হাজার আন্তর্জাতিক সফরকারীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দুবাই। যেটা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন গুণ বেশি। সেই সময়ে এ বিমানবন্দর ব্যবহার করেছিলেন ২৫ লাখ ২০ হাজার যাত্রী। বৈশ্বিক অর্থনীতি ও পর্যটন খাতে কিছু অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এমন চিত্র দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য দুবাইয়ের অর্থনীতি ও পর্যটন বিভাগের।
২০২২ সালে ৬ কোটি ২৪ লাখ যাত্রী সংখ্যা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছে দুবাই বিমানবন্দর। আগে যেখানে মে মাসে বিমানবন্দরটি পূর্বাভাসে জানিয়েছিল মোট যাত্রী সংখ্যা ৫ কোটি ৮৩ লাখ হবে। দুবাই বিমানবন্দরের সবচেয়ে বেশি যাত্রী যায় ভারতের, বছরে দুবাই বিমানবন্দরে যায় দেশটির ৪০ লাখ মানুষ, সৌদি আরব থেকে যায় ২০ লাখ যাত্রী আর যুক্তরাজ্য থেকে ১৯ লাখ।
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু বিমানবন্দরে বিভিন্ন ধরনের বিঘ্ন, লম্বা লাইনে অপেক্ষা এবং দেরিতে ব্যাগ আসার সমস্যা থাকলেও দুবাই বিমানবন্দর জানিয়েছে, ডিপারচার পাসপোর্ট কন্ট্রোলে বিমানবন্দরটির ৯৬ শতাংশ যাত্রীকে ৫ মিনিটের কম সময় লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। তাছাড়া ছেড়ে যাওয়ার সময়ে নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্য ৯৭ শতাংশ যাত্রীকে ৩ মিনিটেরও কম সময় অপেক্ষা করতে হয়।