সংগঠনটির সভাপতি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে একটি আবেদনও পাঠিয়েছেন।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ ও টেকসই উন্নয়নের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক উন্নয়নের কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করায় শেখ হাসিনার সরকারের ভূয়সী প্রশংসাও করা হয়।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ মুজিুবর রহমান পশ্চিমবঙ্গবাসীর আপনজন ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বরাবরই শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন। তাই তারা নাগরিক সংবর্ধনা দিতে আগ্রহী।
সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সাহানারা খাতুন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকদিন পর রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে আসছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর ও ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরপূর্তির সময়ে এ সফর নানা কারণে ঐতিহাসিক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যেভাবে সহায়তা করেছিলেন, সেটাও ইতিহাস।’
তিনি বলেন, ‘ভারতবর্ষের মানুষ তখন বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের যুদ্ধাপরাধের প্রতিবাদে এক জোট হয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় দুই কোটির বেশি মানুষ শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আমরা তখন যেমনভাবে ওপারের মানুষের পাশে ছিলাম, এখনো পাশে আছি। শেখ হাসিনা হচ্ছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। তিনি সময় দিলে আমরা ভারতের বাঙালিরা ওনাকে নাগরিক সংবর্ধনা জানাতে চাই।’