গতকাল সংগঠনটির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়েছে। তাছাড়া ব্রোকারদের লেনদেনের ওপর কর ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর কমানোর পাশাপাশি করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ডিবিএ।
ডিবিএর প্রেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাজারের লেনদেন কমে যাওয়ার কারণে একমাত্র কমিশন আয়ের ওপর নির্ভরশীল ব্রোকারেজ হাউজগুলো ক্রমাগত লোকসান গুনছে। ফলে পরিচালন ব্যয়ভার মেটাতে না পেরে অনেক শাখা অফিস এরই মধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। আরো অনেক শাখা অফিস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে ব্রোকারদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমেও স্থবিরতা বিরাজ করছে। কভিড-১৯-এর ফলে দীর্ঘসময় বন্ধ থাকা ব্রোকারেজ হাউজের এ সংকট আরো চরমে পৌঁছেছে।
পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়নে ব্রোকারদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য শেয়ার লেনদেনের ওপর বিদ্যমান অগ্রিম আয়কর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ নির্ধারণের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে লিখিত সুপারিশ পাঠিয়েছে ডিবিএ।
প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিন বছরের লক-ইন প্রত্যাহারের পাশাপাশি এক্ষেত্রে করহার ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশের সুপারিশ করেছে ডিবিএ। ফলে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং তারল্যপ্রবাহ বাড়ার ফলে বাজার সক্রিয় ও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছে সংগঠনটি।
কোম্পানি থেকে প্রদেয় লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা বিদ্যমান ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে ডিবিএ। তাছাড়া অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রেও ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কর কমানোর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।