এ বিষয়ে শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রাইসিস মোমেন্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেয়ারবাজারকে প্রণোদনা দেয়ার নজির রয়েছে। তাই সরকার চাইলে শেয়ারবাজারে প্রণোদনা দিতেই পারে। তবে আরও একটা ভালো অপশন হচ্ছে ফ্লোর প্রাইস (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) উঠিয়ে দেয়া। এটা উঠিয়ে দিলেই বাজারে কেনা-বেচা বাড়বে, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ইনকামও আগের মতো হয়ে যাবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) অর্থসচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে এ সুবিধা চাওয়া হয়েছে। বিএমবিএ’র সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে পুঁজিবাজার খুব খারাপ সময় পার করছে। এবার করোনার কারণে বাজারের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে।
করোনা রোধে ৬৬ দিন সাধারণ ছুটিতে ছিলো দেশ। এ সময় পুঁজিবাজারও বন্ধ ছিল। ফলে কোনো আয় করতে না পারায় বর্তমানে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো খুব কঠিন পরিস্থিতে পড়েছে। এমন অবস্থা হয়েছে যে, এ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্টাফদের বেতন, অফিস ভাড়া, ইউটিলিটি বিল এবং ব্যাংক ঋণের সুদ পরিশোধ করতে পারছে না।
তাই সরকারের কাছে তারা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় অফিস স্টাফদের বেতন, অফিস ভাড়া এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধের জন্য ৪ শতাংশ সুদে ঋণ চায়। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে অন্যান্যদের যেমন ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়োড দেয়া হয়েছে তারাও ৬ মাস গ্রেস পিরিয়োড চায়। একই সঙ্গে পরবর্তী ২৪ কিস্তিতে এ ঋণ পরিশোধ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
তবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কয়েক দফায় এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এসব প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস নেই।