প্রতি ভরি স্বর্ণে ৫ হাজার ৭১৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দর নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের সর্বোচ্চ ক্রয়মূল্য হবে ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকা।
সোমবার (২২ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। মঙ্গলবার (২৩ জুন) থেকে স্বর্ণের এ নতুন দর কার্যকর হবে।
সংগঠনটির দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে স্বর্ণের মূল্য সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। ফলে দেশীয় বুলিয়ন মার্কেটে স্বর্ণের মূল্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটি আজ সন্ধ্যায় টেলি-কনফারেন্সে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৩ জুন থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্য নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, করোনার কারণে বিশ্ববাজারের স্বর্ণের বিনিয়োগ বেড়েছে। যার কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায় উঠেছে। এছাড়া দেশের বাজারে স্বর্ণের সঙ্কট রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে দেশের বাজারে স্বর্ণের বিক্রি প্রায় ৮৫ শতাংশ কমে গেছে। এর মধ্যে স্বর্ণের দাম বাড়ায় বিক্রিতে বড় প্রভাব পড়বে। আগামীতে স্বর্ণ বিক্রি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
২৩ জুন থেকে কার্যকর হওয়া নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৭১৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৯০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৭১৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৫৭ হাজার ৯৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের দাম তিন হাজার ৬১৬ টাকা বাড়িয়ে ৪৭ হাজার ৬৪৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম পূর্বে নির্ধারিত ৯৩৩ টাকাই বহাল রয়েছে।
এর আগে সবশেষ ২৮ মে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছিল বাজুস। ওই দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৬৪ হাজার ১৫২ টাকা। ২১ ক্যারেট ৬১ হাজার ৮১৯ এবং ১৮ ক্যারেটের দাম ৫৬ হাজার ৮০৪ টাকা। এছাড়া সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের দাম ৪৪ হাজার ৩২ টাকা।