কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বৈঠকে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবে উভয়পক্ষ। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে জ্বালানি সংকটে পড়া বাংলাদেশ দেশটি থেকে জ্বালানি আমদানি, বিশেষ করে ডিজেল আনার বিষয়ে গুরুত্ব দেবে। এছাড়া শ্রমবাজার, বিনিয়োগ ও বিভিন্ন খাতে একে অপরকে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রুনাইয়ে দু’দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক যোগ দিতে মাসুদ বিন মোমেন সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে দেশটির উদ্দেশে রওনা করেন। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) পররাষ্ট্র সচিব ব্রুনাইয়ে পৌঁছায়। বৈঠকে মাসুদ বিন মোমেন ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এফওসিতে দুই দেশের সম্পর্কের সব দিক নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। ব্রুনাইয়ে আমাদের শ্রমবাজার আছে। সুতরাং শ্রমবাজার নিয়ে আলোচনা হবে। জ্বালানি আমদানির বিষয়ে ব্রুনাইয়ের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আমরা ডিজেল আমদানির বিষয়ে সহযোগিতা চাইব।
২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে প্রথম এফওসি অনুষ্ঠিত। সে সময় পররাষ্ট্রসচিব (সাবেক) শহীদুল হক ঢাকার পক্ষে বেঠকে নেতৃত্ব দেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, দুই বছর পর দ্বিতীয় এফওসিতে বসবে উভয়পক্ষ।