গতকাল বণিক বার্তা আয়োজিত কভিড-১৯-এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনায় বক্তারা এ দাবি জানান।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, লংকাবাংলা ফিন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খাজা শাহরিয়ার, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) সভাপতি এবং আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডের এমডি ও সিইও মো. মমিনুল ইসলাম, বিএলএফসিএর ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইসলামিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের এমডি ও সিইও আবু জাফর মো. সালেহ।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য থাকতে হবে। সেবার ধরন, প্রডাক্ট বৈচিত্র্য না থাকলে ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো টিকতে পারবে না। দেশে ব্যাংকের মতোই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও অনেক। এর মধ্যে সম্প্রতি আরো একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে। কাজের কাজ কিছুই হবে না। টিকে থাকতে হলে এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রডাক্ট বৈচিত্র্য আনতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বাতন্ত্র্য থাকতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, আমরা অন্য রকম কাজ করছি। ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ করে, বিপরীতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকে প্রাধান্য দেয়।
এনবিএফআই খাতের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কিছু যেমন খারাপ অবস্থায় রয়েছে, তেমনি কিছু প্রতিষ্ঠান ভালো অবস্থানেও রয়েছে। দেশের রিয়েল সেক্টর ও পুঁজিবাজারে এনবিএফআইগুলোর প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ রয়েছে। একেক দেশে একেক উদ্দেশ্য নিয়ে এনবিএফআই প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যেমন শ্রীলংকায় তিন বছর বা তার বেশি মেয়াদের এনবিএফআই অর্থায়ন করে থাকে। আর তিন বছর পর্যন্ত মেয়াদে অর্থায়ন করে ব্যাংক। ভারতে এনবিএফআই ইনোভেশন ও ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রক কাঠামোর মাধ্যমে এনবিএফআইগুলোর সীমা নির্দেশ করে দেয়া হয়নি। আমাদের এখানে তহবিলের ৩ থেকে ৫ শতাংশ বন্ডের মাধ্যমে আর ৫০ শতাংশ আমানতের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। বাকিটা ব্যাংকের কাছ থেকে আসে। অথচ ভারতে এনবিএফআইগুলোর তহবিলের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশই আসে বন্ডের মাধ্যমে। আর ৩০ শতাংশ আমানত ও ১০ শতাংশ ব্যাংকের কাছ থেকে আসে। দেশে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ড ইস্যু করতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের ঘোষণার পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়। তখন অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আমানত উঠিয়ে নিয়েছে। এর ফলে কিন্তু এনবিএফআইগুলো তহবিল সংকটের মধ্যে পড়েছে। সর্বশেষ কভিড-১৯-এর কারণেও অনেক গ্রাহক ঋণের কিস্তি পরিশোধ করছেন না। তাছাড়া আমানতকারীদের মধ্যেও অর্থ উঠিয়ে নেয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। তাই আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করব, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তারল্য সংকট মেটাতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করার জন্য।
লংকাবাংলা ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও খাজা শাহরিয়ার বলেন, ২০১৮ সালের শেষের দিক থেকেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারল্য সংকট তৈরি হয়। পিপলস লিজিংয়ে অবসায়নের ঘটনায় আমানতকারীদের আস্থার সংকট দেখা দেয়। যার কারণে ব্যক্তি ও করপোরেট আমানতকারীরা অর্থ উঠিয়ে নিতে শুরু করেন। সর্বশেষ কভিড-১৯-এর কারণেও অনেকের মধ্যে আমানত উত্তোলনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গত দুই বছর ধরে পুঁজিবাজারে নিম্নমুখিতা বিরাজ করছে। এর ফলে সেখান থেকেও আয় কমে গেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তারল্য সংকট কাটাতে বিকল্প অর্থায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে বন্ড একটি ভালো উৎস হতে পারে। যদিও বর্তমানে বন্ডের মাধ্যমে খুব বেশি অর্থ সংগ্রহ হচ্ছে না। তাছাড়া আমানতকারী যারা রয়েছেন বিশেষ করে করপোরেট আমানতকারী, তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। আমানত উঠিয়ে নিলে প্রতিষ্ঠানগুলো আরো ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংকটে সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
ইসলামিক ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু জাফর মো. সালেহ বলেন, এনবিএফআইগুলোর সংকটকে আমি সম্পদ ও দায়ের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই। আমরা স্বল্পমেয়াদে আমানত নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে ঋণ দিচ্ছি। কভিড-১৯-এর কারণে অনেক আমানতকারীই তাদের অর্থ উঠিয়ে নিচ্ছেন। আমরা কিন্তু কাউকে ফিরিয়ে দিচ্ছি না। যারাই আসছে তাদেরই আমরা অর্থ দিয়েছি। এ পরিস্থিতিতেও আমরা এখন পর্যন্ত টিকে রয়েছি। শরীয়াহভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমি দ্রুত সুকুক চালু করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এতে আমাদের বিকল্প তহবিলের সুযোগ তৈরি হবে। আমি আশাবাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সবার সহযোগিতায় সংকট কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সব কাজ করতে পারে না। ব্যাংক গ্রাহকদের অর্থের লেনদেন করে। কিন্তু আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে অদূর ভবিষ্যতেও এটি সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। এজন্য এ প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে তহবিল সংগ্রহ করা কষ্টকর। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তারল্য জোগানের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করতে পারে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক আগে থেকে বিষয়টির দাবিও জানিয়ে আসছে। আমি মনে করি, এ দাবিটি যৌক্তিক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি তহবিল গঠন করে, সেখান থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারল্য জোগান দেয়, তাহলে করোনাকালে এ প্রতিষ্ঠানগুলো বেঁচে যাবে।
উদাহরণ দিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, কৃষি ব্যাংক তার তারল্যের বড় একটি অংশই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পায়। আমার সময়ে নিয়মিতভাবেই কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক হতো। বৈঠকে কৃষি ব্যাংকের কাছ থেকে সুদের টাকা চাইতাম, সেটি দিতেও তারা গড়িমসি করত। কৃষি ব্যাংকের কাছে মূল টাকা চাইতে আমাদের লজ্জাই লাগত। তার পরও দেশের কৃষকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে তারল্য দেয়া হতো। এভাবেই দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার স্বার্থে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারল্য জোগান দেয়া যেতে পারে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ব্যাংকের মতো সবই করতে চায়, তাহলে হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ড. সালেহউদ্দিন বলেন, নির্দিষ্ট অঞ্চল বা বিশেষ খাত ধরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুনির্দিষ্ট কাজ করতে হবে। যেখানে ব্যাংক যেতে পারে না, সেখানে যদি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করতে পারে, তাহলে জনগণের মধ্যে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ইমেজ তৈরি হবে। এতে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের কাছ থেকেই প্রতিষ্ঠানগুলো আমানত পাবে। সবাই মিলে এক জায়গা বা প্রডাক্টে হুমড়ি খেয়ে পড়ার দরকার নেই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে সাবেক এ গভর্নর বলেন, সময় এসেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আইন ও রীতিনীতি পৃথকভাবে তৈরি করার। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। ব্যাংকের রীতিনীতি যদি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেটি যথার্থ হবে না। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমি যখন পিকেএসএফে ছিলাম, তখন বলা হলো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাসেল-২ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ কথা শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। ব্যাসেল-২ যদি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ওপর বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে সবকয়টি প্রতিষ্ঠানই মারা পড়বে। পরে প্যারিস ও জেনেভায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেটি বন্ধ করেছি। এখন যদি ব্যাসেল-৩ দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেটি সুখকর হবে না। এটি হলে প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়বে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মানুষের আস্থা ফেরাতে হলে গভর্ন্যান্স ঠিক করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা সময় পর্যন্ত পিপলস লিজিং ভালো প্রতিষ্ঠান ছিল। এরপর চেয়ারম্যান ও এমডি পরিবর্তন হওয়ার পর সেটি ভেঙে পড়ল। এখন পর্ষদ পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গভর্ন্যান্স পরিবর্তন হয়ে গেলে তো হবে না। পিপলস লিজিংকে অবসায়ন না করে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত করে দেয়া যেত। এটি অবসায়নের ফলে মানুষের কাছে খাত সম্পর্কে খারাপ বার্তা গেছে। এ খাতের ওপর কনফিডেন্স নষ্ট করা যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, বক্তাদের সব আলোচনায় যে বিষয়টি উঠে এসেছে তার সারসংক্ষেপ হলো কনফিডেন্স। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি গ্রাহকদের আস্থা যদি ফিরিয়ে আনা যায়, তাহলে সমস্যাগুলোর অর্ধেকই সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, সমস্যাগ্রস্ত কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ বাদ দিলে এ খাতের খেলাপি ঋণের হার ৫ শতাংশেরও কম হবে। কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার ১ শতাংশের নিচে। তিনি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট শাখা ২৭৬। এর মধ্যে ঢাকা শহরে আছে মাত্র ৯৪টি। অর্থাৎ, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখার বড় অংশই সারা দেশে ছড়িয়ে আছে। ৩৬টি জেলায় ১৮২টি শাখা কাজ করছে। ব্যাংকের সঙ্গে তুলনা করলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক বেশি সম্প্রসারণমুখী।
জনগণের আস্থা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল শক্তি উল্লেখ করে শাহ আলম বলেন, এটি নষ্ট হয়ে গেলে যত টাকাই ঢালা হোক, কোনো কাজে আসবে না। পিপলস লিজিং অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমরা বিভিন্নমুখী উদ্যোগ নিয়েছিলাম। বহুজনকে আমরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তখন কেউ এগিয়ে আসেনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে দেয়া দরকার। সম্প্রতি আমরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনে ব্যাপক সংস্কার এনেছি। এ খাতের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকে গ্রিন, ইয়েলো ও রেড জোনে আর বিভক্ত করা হবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্বাহী পরিচালক জানান, এখন থেকে এগুলোকে গ্রেডিং করা হবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই কস্ট অব ফান্ড কমাতে হবে।
তিনি জানান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পুনঃঅর্থায়ন তহবিলসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনার জন্য ৩০ তারিখ গভর্নর মহোদয় বৈঠক ডেকেছেন। সেখানেই এ খাতের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে আলোচনা হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্প্রসারণ ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য এ খাতের সঙ্গে যুক্তদেরই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। আমি বহু আগেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সভা, সেমিনার ও ফেয়ার করার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু ওই সময় কেউ এগিয়ে আসেনি। এ প্রতিষ্ঠানগুলো তিন মাস মেয়াদি আমানত নিয়ে তিন বছরের জন্য বিনিয়োগ করেছে। শুরু থেকেই ফান্ড ম্যানেজমেন্টের মিসম্যাচ ছিল। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।