ভুতুড়ে এই বিল নিয়ে ইতোমধ্যে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে একটি শুনানির আয়োজন করে ডিপিডিসি।
শুনানিতে বলা হয়, যাদের অতিরিক্ত বিল এসেছে তাদের বিল ঠিক করে দেওয়া হবে। কোনোভাবেই এক ইউনিট বেশি বিদ্যুতের টাকাও রাখবে না ডিপিডিসি। পাশাপাশি অতিরিক্ত বিলের জন্য দায়ীদের ৩০ তারিখের মধ্যে খুঁজে বের করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৮ জুন) ফেসবুক লাইভে গ্রাহকের বিলের অভিযোগ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক গণশুনানিতে এমন কথাই বলেছেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) এর কর্মকর্তারা।
'গ্রাহকের জিজ্ঞাসা ও উত্তর' শীর্ষক শুনানিতে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সভাপতিতে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) এটি এম হারুন অর রশিদ, নির্বাহী পরিচালক (আইসিটি) শহিদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কমকর্তারা।
এসময় বিকাশ দেওয়ান বলেন, 'প্রতি মাসে আমরা যেমন রিডিং নিয়ে বিল করি। করোনার কারণে তা করা যায়নি। গড় বিল করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছে। অনেক গ্রাহক অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ করেছেন। আমরা খুবই দুঃখিত এই ধরনের ভোগান্তির জন্য। তবে সব বিলই আমরা ঠিল করে দেবো।'
যাদের কারণে এই অতিরিক্ত বিল হয়েছে তাদের কী করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ডিপিডিসি থেকে কমিটি করা হয়েছে। আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।'
এখন গ্রাহকরা অনেকেই ৩০ জুনের মধ্যে বিল দিতে না পারলে জরিমানা করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যে গ্রাহক যেভাবে বিল দেবেন, আমরা সেভাবেই এখন বিল নেবো। আর কেউ যদি এখন দিতে না পারেন, সেটিও আমরা বিবেচনা করবো।'