গত ১১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে তার বাজেট প্রস্তাবে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ আরও বিস্তৃত করেন। কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট কেনা, দালান নির্মাণ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে অপ্রদর্শিত আয়ের অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ গত অর্থবছরেই ছিল।
২০২০-২১ সালের বাজেটে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোনো সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রেও একই সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
কোনো জরিমানা ছাড়া কেবল ১০ শতাংশ কর দিয়ে যে কেউ তার অবৈধভাবে অর্জিত অথবা কর ফাঁকি দিয়ে গোপনে সঞ্চিত অর্থ এসব খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বা সরকারের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ওই টাকার উৎস জানতে চাইবে না।
তবে কেউ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো শেয়ারে অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা বিনিয়োগ করতে চাইলে তিন বছরের ‘লক ইন’ বা বিক্রয় নিষেধাজ্ঞার শর্ত দেওয়া হয়, যা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পাশাপাশি বালাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও ‘লক ইনের’ ওই শর্ত তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
এভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রী সেদিন বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, “অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে” আয়কর অধ্যাদেশে এই ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছেন তিনি।
তবে এভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলে সৎ করদাতাদের প্রতি ‘অবিচার’ করা হয় বলে অনেকেই এর বিরোধিতা করে আসছেন।
সোমবার অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারে কালো টাকা’র ‘লক ইন’ ৩ বছরের পরিবর্তে ১ বছর করে তার সঙ্গে অন্য কিছু সংশোধনী এনে অর্থবিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
মঙ্গলবার পাস হবে মূল বাজেট। ১ জুলাই বুধবার থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।