মঙ্গলবার (৩০ জুন) চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে পাঠানো এ চিঠিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম বন্দর থেকে ডেলিভারি দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেক নতুন সংযোজন এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ অনেক পরিবর্তন এসেছে। ইতোমধ্যে দেশে প্রায় দেড় লাখের কাছাকাছি মানুষ করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে, যা আগামী দিনগুলোতে আরও ব্যাপক হারে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। টেস্টিং কিটের স্বল্পতার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ভেন্টিলেটর, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ইত্যাদির অভাবেও অনেক আক্রান্ত রোগী মারা যাচ্ছেন।
এতে আরও বলা হয়, করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, ভেন্টিলেটর, কার্ডিয়াক মনিটর, অক্সিজেন সিলিন্ডার, করোনা টেস্টিং কিট, ওয়ান টাইম পিপিই, এন-৯৫/কেএন-৯৫ মাস্ক. সার্জিক্যাল মাস্ক, ফেস শিল্ড/গগলস, পালস অক্সিমিটার, অক্সিজেন মিটার ও স্যানিটাইজার ইত্যাদি মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট ও আনুষঙ্গিক পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এসব পণ্য আমদানিতে বিভিন্ন রকমের শুল্ককর আদায় করা হচ্ছে এবং পণ্য ডেলিভারি প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত ধীরগতি দেখা যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা চেম্বারকে অবহিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতির এই দুর্যোগকালে করোনাভাইরাস থেকে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় আমদানি করা জরুরি এসব পণ্যে সম্পূর্ণ শুল্ককর মওকুফ এবং জরুরি ভিত্তিতে কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করে বন্দর থেকে দ্রুত ডেলিভারি দেয়া হলে, তা আক্রান্তদের জীবন রক্ষায় অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।