গত অর্থবছরে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২১.৯৭ শতাংশ। বছরের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা। বছর শেষে এই বাজার মূলধন নেমে যায় ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকায়।বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ২০১৯ -২০ অর্থবছরের শুরুতে ডিএসইএক্স সূচকের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৪২১.৬২ পয়েন্ট। বছরের শেষ দিনে অর্থাৎ ৩০ জুন,২০২০ এই সূচক নেমে যায় ৩ হাজার ৯৮৯ পয়েন্টে।এক বছরে ডিএসই প্রধান সূচক কমেছে ১ হাজার ৪৩২.৫২ পয়েন্ট বা ২৬.৫৬ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ডিএসইএক্স বেড়েছিল ১৬.১৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৩০ শতাংশ।
২০১৯-২০ অর্থবছরে কমেছে ডিএসই৩০ সূচকও। বছরের শুরুতে এই সূচকের অবস্থান ছিল এক হাজার ৯২৯.০৯ পয়েন্টে। বছর শেষে এই সূচক নেমেছে এক হাজার ৩৪০.৯৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ সূচক কমেছে ৫৮৮.১১ পয়েন্ট বা ৩০.৪৯ শতাংশ। যেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই সূচক কমেছিল মাত্র ১.৫৭ শতাংশ।
গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ কমেছে ডিএসই শরীয়াহ সূচকও। এই সূচক ২৫.৬৮ শতাংশ কমে ৯২৫.০৮ পয়েন্টে নেমে গেছে।যেখানে গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সূচকটি মাত্র ১.৫১ কমেছিল।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ডিএসইতে মোট ৭৮ হাজার ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৯৩ কোটি।এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৬.৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ডিএসইতে মাত্র ৮.১০ শতাংশ লেনদেন কমেছিল।
সমাপ্ত অর্থবছরে ডিএসইতে কমেছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডিএসইতে ২০৩ কর্মদিবসে ২ হাজার ৫৯২ কোটি ৫৭ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছিল; যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩ হাজার ৬৯১ কোটি ৮৯ লাখ শেয়ার। অর্থাৎ ডিএসইতে ৪২.৪০ শতাংশ শেয়ার লেনদেন কমেছে। অন্যদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ার লেনদেন কমেছিল ১৯.৩৩ শতাংশ।