তথ্য মতে, কোম্পানিটি গত ১২ ডিসেম্বর থেকে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে। প্রথম দিন ১৫ টাকা দিয়ে লেনদেন শুরু করে দিন শেষে নতুন নিয়মে সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী ৫০ শতাংশ বা ৫ টাকাই বেড়ে ১৫ টাকাতে থাকে। এর পরের দিন থেকেই কমতে থাকে কোম্পানির শেয়ার দর। মাঝে সামান্য বাড়লেও শেষ পর্যন্ত পতন ঠেকানো যায়নি শেয়ারটির।
বাজার চিত্র অনুযায়ী, সোবমার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য অবস্থান করছে মাত্র ৯ টাকা ৬০ পয়সায়। এরআগে সকালে কোম্পানিটি লেনদেন শুরু করে ১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে। দিন শেষে শেয়ারটির দর ৬০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে যায়। কোম্পানিটি ২ হাজার ৮৮৩ বারে মোট ৫১ লাখ ৩ হাজার ১৯৩ টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৬ কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
এছাড়া লেনদেন শুরুর আগে থেকেই কোম্পানির বিভিন্ন কার্যক্রমই প্রশ্নবিদ্ধ। কোম্পানি লেনদেন শুরুর আগে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। লভ্যাংশ ঘোষনার আইন অনুযায়ী কোম্পানির প্রথম লেনদেনে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। কিন্তু তার আগেই বিএসইসি লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে দেয়। আর এ আইনী জটিলতার কারণেই কোম্পানির লেনদেন দেরি করে শুরু করা হয়।
অপরদিকে কোম্পানিটি আইপিও এর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে এক ব্যাংকের ঋণ শোধ করলেই অপর এক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছে। কোম্পানির পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রসপেক্টাসে ঢাকা ব্যাংক এবং উরি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু কোম্পানিটি নিদৃষ্ট সময়ে উরি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেছে। অন্যদিকে কোম্পানিটি প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। এখন কোম্পানিটি উরি ব্যাংকের পরিবর্তে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ২২ কোটি টাকা পরিশোধ করবে।
এদিকে কোম্পানিটি লেনদেনের ৫ কার্যদিবসের সময় তাদের অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।কোম্পানিটি ৪৪০ কোটি টাকা থেকে ৫৪০ কোটি টাকায় অনুমোদিত মূলধন বাড়াবে। রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি রিং শাইনের অনুমেদিত মূলধন বাড়ানোর বিয়টি অনুমোদন করেছে।
এদিকে কোম্পানিটি গত বছর ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বাজার থেকে কোম্পানি ১৫০ কোটি উত্তোলন করে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৪৩৫ কোটি টাকা। এছাড়া কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে ৪৩ কোটি ৫০ লাখ ৫৪ হাজার ৮২০টি।