সোমবার এ তথ্য সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়েছিলেন। নিয়মিত পরিশোধ না করায় পরবর্তীতে তা খেলাপি হয়ে যায়। আইন অনুযায়ী একজন ঋণখেলাপি ব্যাংকের পরিচালক থাকতে পারেন না। এ কারণে চলতি মাসে ওয়ান ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়েছে যে, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ সাল থেকে সাঈদ হোসেন চৌধুরী ওই ব্যাংকের পরিচালক নন।
জানা গেছে, ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ হোসেন চৌধুরী। আর এ গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এইচআরসি শিপিং লাইন্সের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে বেসরকারি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নেন। তবে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার দায়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের খেলাপির তালিকায় রয়েছে তার নাম। তার পাওনা আদায়ে বন্ধকিতে থাকা চট্টগ্রামের সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এইচআরসি শিপিং লাইন্সের কাছে সুদসহ মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে ১২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আর এ পাওনা আদায়ে সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন আরেক প্রতিষ্ঠান আরাকান এক্সপ্রেস লিমিটেডের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ৩১ দশমিক ৮০ ডিসিমেল জমির ওপর নির্মিত বাণিজ্যিক শেড ও সংশ্লিষ্ট সব ধরনের স্থাপনা নিলামে বিক্রির প্রস্তুতি নেয়া হয়।