নিরীক্ষা ফার্মটি জানিয়েছে, জেমিনি সি ফুড প্রতি বছর বাংলাদেশ লেবার অ্যাক্ট (অ্যামেন্ডমেন্টস), ২০১৩ অনুযায়ী ডব্লিউপিপিএফে টাকা দেয়ার হিসাব দেখিয়েছে, কিন্তু নিয়মিত ডব্লিউপিপিএফ ট্রাস্টে টাকা ট্রান্সফার করেনি। কাজী জহির খান অ্যান্ড কোং আরো জানিয়েছে, জেমিনি সি ফুডের ডব্লিউপিপিএফ ট্রাস্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি কেবল ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ হিসাব বছরে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রদেয় টাকা কোম্পানি অ্যাকাউন্ট থেকে ফান্ড অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অর্থ শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে জেমিনি সি ফুডের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের ওপেনিং ব্যালান্স দেখানো হয়েছে ৫৩ লাখ ১ হাজার ১৪৪ টাকা। এর সঙ্গে ওই বছরে যোগ করা হয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫৩ টাকা। মোট ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ১৯৭ টাকা থেকে সংশ্লিষ্ট বছরে শ্রমিকদের প্রদান হিসেবে দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৫০ টাকা। আর্থিক প্রতিবেদনে ক্লোজিং ব্যালান্স দেখানো হয়েছে ৪১ লাখ ১৯ হাজার ২৪৭ টাকা। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে ডব্লিউপিপিএফে প্রতিষ্ঠানটির জমার পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯৬ টাকা।
সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে জেমিনি সি ফুড। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১১ টাকা ৫ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১০ টাকা ৬৭ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
এদিকে সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৫৪ পয়সা।